ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দু’টি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরি পুতিন। সেগুলো হল- ডোনেটস্ক এবং লুহানস্ক। স্থানীয় সময় সোমবার রাতে অঞ্চল দুটির স্বাধীনতার স্বীকৃতি সংক্রান্ত ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
পুতিনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ ও ন্যাটো জোট।
সেই সঙ্গে রাশিয়ার হঠাৎ এই সিদ্ধান্তের কারণে বড়সড় নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা।
মস্কোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রুশ প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বলছেন, বিচ্ছিন্ন অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পরোক্ষভাবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধেরই আভাস দিলেন। অবিলম্বে এই ঘোষণা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
পুতিনের ওই ঘোষণার পর জরুরি বৈঠকে বসেন ইইউ ও ন্যাটো সদস্যরা। পরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ও ইইউ কাউন্সিল প্রধান চার্লস মিশেল। তবে সেটি কি ধরনের নিষেধাজ্ঞা হতে যাচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এদিকে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর যুদ্ধের আশঙ্কায় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক ছাড়তে শুরু করেছেন ইউক্রেনের সাধারণ বাসিন্দারা। পুতিনের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে কিয়েভের বাসিন্দারা বলছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের পাঁয়তারা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে মস্কোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রুশ নাগিরকরা।
সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।